
আমাদের সংস্থার কর্মীরা আমাদের সম্পদ, তাঁদের সমৃদ্ধ রাখাই সংস্থার প্রাধান্য: TikTok-এর সিইও
ভারত-চিন সংঘর্ষ ও ২০ জন ভারতীয় সেনার শহিদ হওয়ার উত্তপ্ত আবহে সোমবার টিকটক-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার। এরপর আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে চাকরির বাজারে। TikTok-এর সিইও কেভিন মায়ের ভারতের কর্মীদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন। ইতিমধ্যে টিকটক ইন্ডিয়ার প্রধান নিখিল কর্মীদের গান্ধি জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ছাঁটাই হবে না।
এই চিঠিতে বলা হয়েছে যে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দেশে একটি দুর্ভাগ্যজনক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে অংশীদারদের সঙ্গে এই সমস্যার সমাধান কী করে করা যার, তার জন্য কাজ চলছে। তিনি বলেছেন, ‘যে ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার মুধ্যে একটি টিকটক-ও।’
বাইটডান্স (ByteDance) কোম্পানির শাখা প্রতিষ্ঠান টিকটক আর সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম হেলো (Helo)। ভারতের প্রচুর টাকার বিনিয়োগ করেছে এই কোম্পানি। জানা গিয়েছে টিকটকের মোট আয়ের ৩০% আয় ভারত থেকে হয়। ভারতে টিকটকের ব্যবহারকারী ২০০ মিলিয়ন। ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারার ক্ষমতা প্রয়োগ করে সোমবার চিনের টিকটক-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। কারণ এই ধরনের চিনা অ্যাপ, মোবাইল ফোনে থাকলে তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেই সব অ্যাপ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
কর্মীদের আশ্বাস – টিকটক-এর সিইও বলেছেন যে এটি কঠিন সময়, কিন্তু কোম্পানি নিজের টিকটক ক্রিয়েটর কমিউনিটির ওয়েলফেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যত দিন না এই অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ কার্যকর না হয়ে যায়। TikTok-এর সিইও বলেছেন, ‘আমাদের সংস্থার কর্মীরা আমাদের সম্পদ, তাঁদের সমৃদ্ধ রাখাই সংস্থার প্রাধান্য। গোটা দেশে আমাদের প্রায় ২ হাজার কর্মী আছেন। তাঁদের ওপর এখনও সংস্থা আস্থা রেখেই চলছে। যাঁদের বলে টিকটক ফের ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়ে ফিরতে পারবে এবং সুযোগ তৈরি করবে যাতে তাঁরা গর্বিত হতে পারে।’