জেনে নিন মাইক্রোওয়েভ ওভেনের কয়েকটি প্রচলিত ধারণা ও প্রকৃত সত্য


আজকালকার ব্যস্ত জীবনে সময়ের বড় অভাব! গ্যাস জ্বালিয়ে খাবার গরম করার সময় বা এনার্জি, কোনওটাই থাকে না! কাজেই ভরসা মাইক্রোওয়েভ ওভেন। ঝটপট রান্না করতেও অনেকে বেছে নেয় মাইক্রোওয়েভ ওভেন। এর ফলে আমাদের জীবন সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই যন্ত্রটি শরীর-স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করে কি? বিশেষজ্ঞরা এর নানা দিক তুলে ধরছেন। জেনে নিন মাইক্রোওয়েভ ওভেনের কয়েকটি প্রচলিত ধারণা ও প্রকৃত সত্য৷


গোটা বিশ্বে ৭০% রেস্তোরাঁ আর খাবারের দোকান রান্না আর খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে সময় আর এনার্জি দুটোর সাশ্রয় হয়। আর গ্রাহকরাই খুশি হন গরম খাবার খেয়ে । অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, মাইক্রোওয়েভ ওভেন খাবার ভিতর থেকে গরম করে। কিন্তু সত্যি সেটা নয়, খাবারের বাইরের লেয়ারটি প্রথমে গরম হয়, তারপর আসতে আসতে ভিতরটি।


অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনকে এনার্জি এফিসিয়েন্ট মনে করেন কনভেনশনাল ওভেনের থেকে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে খাবার গরম করে ৮০% শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে মাইক্রোওয়েভ। কিন্তু রান্না করার সময় একটি ভিন্ন হয়, কারণ একটি নির্ভর করে রান্নার সময়ের উপরে। কিন্তু এটা ঠিক যে কয়লা, গ্যাস বা এলপিজি-র থেকে সত্যি এনার্জি এফিসিয়েন্ট!


মাইক্রোওয়েভনে তেল গরম করলে আগুন ধরে যায় – এটি একটি ভুল ধারণা। আপনি যদি তেল গরম করতে চান তাহলে টাইমার কিছু সেকেন্ডের জন্য সেট করুণ আর অবশ্য নজর রাখুন মাইক্রোওয়েভনের দিকে।


মাইক্রোওয়েভে সব রকমের বাসন ঢোকানো যায় না। আজকাল অনেক বাসনের তলাতেই মাইক্রোওয়েভ সেফ লেখা থাকে, কিন্তু তাই বলে সেগুলি মাইক্রোওয়েভে ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। মাইক্রোওয়েভে স্টিলের বাসনপত্র, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, ব্রাউন পেপার ব্যাগ ব্যবহার করা যায় না


মাইক্রোওয়েভে সব ধরনের প্লাস্টিকের পাত্র একেবারেই ব্যবহার করা চলবে না। গরম করার জন্য তবুও চলতে পারে, কিন্তু তা-ও বিশেষভাবে তৈরি ফুড গ্রেডেড প্লাস্টিক, যেটি আবার মাইক্রোওয়েভ সেফ। তা-ও এই ধরনের পাত্র একটানা পাঁচ মিনিটের বেশি ব্যবহার করবেন না৷