অজান্তেই আপনার শরীরে মারণ রোগ বাসা বাঁধছে না তো

সিনেমা দেখতে গেলে পপকর্ন ছাড়া চলেই না ৷ চিজ হোক বা বাটার ফ্লেভার কিংবা নিদেন পক্ষে সল্টেড পপকর্ন তো চাই ৷ পর্দায় হিরোর অ্যাকশন আর নায়ক নায়িকার রোমান্সের সঙ্গে তাল রেখে চলে চোয়ালের কাজ ৷ কিন্তু এই আপাত নিরীহ পপকর্নের বেশে কোন মারণ রোগ শরীরে হানা দিচ্ছে আপনি বুঝতেও পারছেন না ৷


সম্প্রতি একটি গবেষণায় পপকর্নকে অত্যন্ত ক্ষতিকারক খাদ্যদ্রব্য বলে জানানো হয়েছে ৷ গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, পপকর্ন খেলে হতে পারে ক্যান্সার !


ট্টার দানা থেকে তৈরি নিরীহ এই স্ন্যাকসটি কিভাবে এত ভয়ঙ্কর হতে পারে? গবেষণাপত্রে সেকথাও বলা হয়েছে ৷ আসলে বিপদ লুকিয়ে এর বানানোর পদ্ধতিতে ৷ দোকানগুলিতে যে পপকর্ন পরিবেশন করা হয় তা আসলে সরাসরি খেতের ভুট্টা থেকে সংগৃহীত নয় ৷ বহুদিন আগে ভুট্টা থেকে কচি দানা ছাড়িয়ে তা সংরক্ষণের জন্য তেলের মধ্যে কেমিক্যাল মিশিয়ে প্যাকেট বা টিনে সিল করে দেওয়া হয় ৷ সেই সিল করা টিন খুলে মাইক্রোওয়েভ বা মেশিনে বানানো হয় পপকর্ন ৷Representative Image


সংরক্ষণ ও বানানো পদ্ধতিটি এতটাই অবৈজ্ঞানিক যে এর ফলে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় ৷ পপকর্ন তৈরির ভুট্টার দানা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলি শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে ৷ সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফুসফুস ৷ তাই গবেষণাপত্রটিতে চিকিৎসকেরা পপকর্ন খেতে নিষেধ করেন ৷


ক্যান্সারের মারণ থাবা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব জুড়ে ৷ ক্যান্সার এমন একটা রোগ ৷ ঠিক সময় ধরা না পড়লে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী ৷ WHO-র পরিসংখ্যান বলছে, ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এই রোগ পুরোপুরি নির্মূল করতে পারে এমন কোনও চিকিত্সা এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। অপারেশন করে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে এই রোগ কিছুটা কন্ট্রোল করা যায় মাত্র। তবে বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে, যেগুলি খেয়াল করলে ক্যান্সার সম্বন্ধে আগে থেকেই সচেতন হওয়া যায়।