
জিওমিটে একসঙ্গে ১০০ জনের কনফারেন্স করা যাবে ৷ ইনভাইট কোড ছাড়াই কনফারেন্স করা সম্ভব ৷
জুম অ্যাপ, গুগল মিটের বিকল্প JioMeet। HD ফর্ম্যাটে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ সম্প্রতি তৈরি করেছে রিলায়েন্স জিও। জিওমিটে একসঙ্গে ১০০ জন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারবেন। জিওমিটে কনফারেন্স করতে কোনও ইনভাইট কোডেরও প্রয়োজন নেই।
ভারতের হাতে তাই এবার নিজস্ব ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ। রিলায়েন্স জিও-র হাত ধরে ডিজিটাল ভারতের পথে আরও এক সাফল্য। বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই রাতে জিওমিটের কথা ঘোষণা করে রিলায়েন্স জিও। সংস্থার দাবি, ভারতীয়দের নিজস্ব ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্মের চাহিদা পূরণ করবে জিওমিট। তথ্য সুরক্ষার পাশাপাশি গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই অ্যাপটি তৈরি হয়েছে। পেশাদারী ক্ষেত্রে ও ব্যক্তিগত জীবনে ভিডিও কনফারেন্স করার জন্য সবরকম ফিচার থাকছে জিওমিটে।
জিওমিটে একসঙ্গে ১০০ জনের কনফারেন্স করা যাবে ৷ ইনভাইট কোড ছাড়াই কনফারেন্স করা সম্ভব ৷ স্ক্রিন শেয়ারের সুবিধা থাকছে ৷ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এই অ্যাপ থেকে কাজ করা যাবে ৷ সুরক্ষাজনিত কারণে মিটিং শুরু হয়ে গেলে বাকি থেকে যাওয়া ব্যক্তিরা বা অন্য কোনও মানুষ যাতে হোস্টের অজান্তেই তাতে যোগ দিতে না পারে, তার জন্য ‘ওয়েটিং রুম’ থাকছে জিওমিটে। থাকছে স্ক্রিন শেয়ারিং এবং কোলাবোরেট করার সুবিধাও। পাশাপাশি বাড়তি সুবিধা হিসেবে থাকছে, মাল্টিপল ডিভাইস সাপোর্ট, যেখানে একসঙ্গে পাঁচটি ডিভাইস থেকে মিটিংয়ে লগ-ইন করতে পারবেন ব্যবহারকারী। সেক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ানোর সুবিধা নেওয়া যাবে। সহজেই মোবাইল নম্বর কিংবা ইমেল আইডি দিয়ে জিওমিটে সাইন আপ করা যাবে ৷
বৃহস্পতিবার থেকেই অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ফোনে জিও মিট পরিষেবা ব্যবহার করা যাবে ৷ যে কেউ জিওমিট ব্যবহার করতে পারবেন ৷ কনফারেন্স করতে ইনভাইট কোড দরকার নেই ৷ জিও মিট ব্যবহারের জন্য টাকা লাগবে না ৷ অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ, আইওএস, ম্যাক, এসআইপি/এইচ.৩২৩ সিস্টেম-সহ সব অপারেটিং সিস্টেম থেকেই এই জিওমিট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যাবে। আপাতত বিনামূল্যেই এই ‘ফ্রি-কলিং’ পরিষেবা মিলবে জিও’র তরফে। তবে আগামী দিনে কী হবে, তা নিয়ে এখনই মুখ খোলেননি কর্তৃপক্ষ। ফোন বাদ দিলে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে গুগল ক্রোম এবং মোজিলা ফায়ারফক্স থেকেও ব্যবহার করা যাবে জিওমিট।
জুম অ্যাপ ব্যবহার করা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু ভারতের নিজস্ব ভিডিও অ্যাপ না থাকায় কিছুটা বাধ্য হয়েই জুমেই চলছিল ভার্চুয়াল কনফারেন্স। রেকর্ড কম সময়ে বিকল্প নিয়ে এল রিলায়েন্স জিও। এখন ভারতে বসে ভারতের নিজস্ব অ্যাপেই পড়াশোনা, ব্যবসা, বন্ধুত্ব- ডিজিটাল ভারতের পথে আরও এক ধাপ।