আজকে আমি আপনাদের জন্য সেরা ১৫ টি Bangladeshi mojar jokes নিয়ে হাজির হয়েছি। এর আগের পোস্টটিতে আমি বেশকিছু Mojar jokes শেয়ার করেছি চাইলে ওই Jokes গুলি পড়ে নিন। এবং মজা নিন আমার এই নতুন BD Jokes এর বিপুল সংগ্রহের।
Funny Bangladeshi mojar jokes #1
খদ্দের: ওই মুরগি কত ?
দোকানী: ও পাঁচ টাহা দিয়েন হালায় ।
খদ্দের: ও কও কি হালায় ? গলা কাটা নাকি ? ওই টুকুন মুরগী হালায় পাঁচ টাকা চাইতে আছ । তাও তাে হালায় ঝিমাইতে আছে অসুখ বিসুখ নাই তাে ?
দোকানী: না , কত্তা অসুখ বিসুখ নাই ।
খদ্দের: তা হইলে হালায় ঝিমায় ক্যান ?
দোকানীঃ অর হালায় কোন দোষ নাই । কাউলকে ওরে লইয়া গন হনতে গেছিলাম । সারা রাইত জাগছি । অর অ ঘুম নাই , আমার অ ঘুম নাই । আমি তাে হালায় মুরগী বেচতাচ্ছি , ও আর কি করে , একটু ঝিমাইতে আছে ।
BD Jokes #2
গ্রামের বাংলার মাষ্টার মশাই ঢাকা শহরে বেড়াতে এসেছেন । ষ্টেশনে নেমে রিক্সাওয়ালাকে বললেন , যাবে ভাই ?
রিক্সাওয়ালা: যাইবেন কই ?
মাষ্টারমশাই: বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবাে ।
রিক্সাওয়ালা: পাঁচ ট্যাহা লাগবে ।
মাষ্টারমশাই: ঠিক আছে তাই দেবাে , চল
মাষ্টারমশাইকে ঘণ্টাখানেক ঘোরাবার পর রিক্সাওয়ালা। আর বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পায় না । মাষ্টারমশাইও অধৈর্য হয়ে উঠলেন।
মাষ্টারমশাই: তুমি ঢাকার রিক্সাওয়ালা , বিশ্ববিদ্যালয় চেনা ?
রিক্সাওয়ালা: দাঁড়ান হালায় , জিগাইয়া লই ওই দোকানডায় । দোকানদারকে জিগ্যেস করে এসেই রিক্সাওয়ালা রীতিমত উত্তেজিত ‘ তাই কন , আপনি ইউনির্ভাসিটি যাইবেন । তখন থেইকা হালায় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় কইতে আছেন । ইউনির্ভাসিটি কইলে কখন হালায় পৌঁছাইয়া দিতাম । লেখাপড়া না শিইখ্যা ঢাকা আহেন ক্যান ?
BD Joke#3
এক কুট্টির ছেলে ক্লাসের পরীক্ষায় দশম স্থান পেয়েছে । স্বাভাবতই তার বাবা দারুন আনন্দিত এবং গর্বিত । বাবা ছেলের সঙ্গে কাউকে কথা বলতেই দিচ্ছেন না । সবাইকে বলছেন , ‘ শিবুর হালায় কথা কওনের সময় নাই । শিব হালায় দশে দশ | শিবুর এক সহপাঠী এসে জিগ্যেস করল , মেসােমশাই শিবু আছে ? বাবার সেই এক কথা , শিবুর হালায় কথা কওনের সময় নাই । শিবু দশে দশ হইছে । | ছেলেটি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মুচকি হেসে বলল , ‘ মেসােমশাই আমি শিবুর বন্ধু , শম্ভ । আমি দশে একহহ ছি ’ ( মানে ফাষ্ট হয়েছে ) । | ‘ তুমি হালায় দশে এক হইছ ? কও কি হালায় ? ‘ ব্যস , এই বলে ছেলের উদ্দেশ্যে হাঁক পাড়লেন , শিবু ও শিবু । দেইখ্যা । যা হালায় , তর বাপ আইছে ।
BD Joke#4
মিষ্টির দোকানে ঢুকে খদ্দের রসগােল্লার দরদাম করছেন
খদ্দের : রসগােল্লা কত কইরআ হালায় ?
দোকানী : চাইর আনা কইর্যা কত্তা । কটা কটা দিব কন ?
খদ্দের : চাইর আনা । কও কি হালায় ?
দোকানী : দাম কি কত্তা বেশি কইলাম ?
খদ্দের : বেসি ত কইছই । ওই ছাগলের লাদির মত রসগােল্লা চাইর আনা কইর্রা?দুই আনা কইরা হইবাে না ?
দোকানীঃ এখন ত হইবাে না কৰ্ত্তা , বিকাল আইয়েন ।
খদ্দের : বিকেল ক্যান ?
দোকানী : এখন হালায় মুখের মাপ দিয়া যান । বিকালে রসগােল্লা ডেলিভারী লইয়া যাইয়েন ।
Funny Bangladeshi mojar jokes #5
শীতের দিনে কোট কিনতে গেছেন এক ভদ্রলােক । দোকানদার এগিয়ে এসে জিগ্যেস করলেন , কি কত্তা ?
ভদ্রলােক : আমার গায়ের একটা কোট দেখান তাে ।
দোকানদার : এই ন্যান কত্তা । জব্বর একখান কোট দিলাম ।
ভদ্রলােক : কত দাম পড়বাে ?
দোকানদার : দাম বেশি না হালায় । একশ ট্যাহা দিয়েন ।
ভদ্রলােক : একশ ট্যাহা ? . . . . কুড়ি ট্যাহা দিমু । হইবাে ।
দোকানদার : ছড়া বােতাম দিতা আছি , লইয়া যান ।
ভদ্রলােক : বােতাম ক্যান ? কিনতে আইছি তাে কোট ।
দোকানদার : আপনার বুকে যা পশম আছে না , ওর মধ্যে হালায় ছখান বােতাম ফিট কইর্যা দিলেই পশমের কোট হইয়া যাইবাে । খামােখা দোকান থেইক্যা কোট কিনবেন ক্যান ?
Read Also:70+ Funny Bengali jokes for Spread happiness & improve humor
BD Joke#6
এক স্যুটেড বুটেড ভদ্রলােক একটা ফেন্ট হ্যাট কিনতে দোকান গেছেন দেখেশুনে একটা হ্যাট পছন্দ করলেন । জিগ্যেস করলেন ইটা কত ভাই ?
দোকানী: পঞ্চাশ ট্যাহা দিয়ে হালায় ।
ভদ্রলােক কও কি এ যে গোলাকাটা দাম ।
দোকানী : কত দিবেন কত ?
ভদ্রলােক: দশ ট্যাহা দিমু । দিবা ?
দোকানীঃ টুপি কিইন্যা কাম নাই কর্ত্তা। মলসা কিইনা নিয়া যান গা – খাইবেন হাগবেন , মাথায়ও দিবেন ।
Bangla Hasi jokes #7

বাবু বাজার করতে গেছেন । তরিতরকারি কিনছেন । এটা ওটা কেনার পর কচু কিনতে গেলেন । হাতে ধরে কচু দেখে পছন্দ করার পর দাম জিগ্যেস করলেন তােমার কচুর সের কত?
বিক্রতা: আট আনা কত্তা ।
বাবু: কচুত ভালই । কিন্তু গলায় ধরবাে না তাে ?
বিক্রেতা: কি যে কন কত্তা , পাঁচশ ট্যাহা খরচ কইরা ঘরে বিবি আনছি হেই কোন দিন গলা ( জড়াইয়া ) ধরলাে না । আপনার আট আনা সেরের কচু হালায় গলায় ধরবাে ?
BD Joke#8
মাছের বাজারে গিয়ে খদ্দের জিগ্যেস করলেন , ‘ ওই রিগা মাছটা কত দিমু ’ ? |
মাছওয়ালা : চাইর ট্যাহা দিয়েন কত্তা ।
খদ্দের : কওঁ কি ? ওইটুকুন মাছ চাইর ট্যাহা । একখানা কথা কমু ?
মাছওয়ালা : কন্ কত্তা ।
খদ্দের : দুই ট্যাহা দিমু দিবা ? এই বলে খদ্দের ভদ্রলােক মাছের কান দেখতে লাগলেন । মাছওয়ালা বাধা দিয়ে বলল , মাছের কান দেখতে হইবাে না ।আগে যা লাল ছিল ছিলই , আপনার দাম শুইন্যা হালার কান
গরমে আরাে লাল হইয়া গ্যাছে । থুইয়া দ্যান ।
BD Joke#9
কৰ্ত্তা গিন্নীকে হাওয়া খাওয়াতে বেরােবেন বলে ঘােড়ার গাড়ি ডেকে এসেছেন গাড়ােয়ান দোতলার সিড়ির তলায় দাঁড়িয়ে আছে । গিন্নী সাজগােজ আর কিছুতেই শেষ হচ্ছে না । গাড়ােয়ান বারবার তাগাদা দিচ্ছে , চলেন হালায় । কতক্ষণ খাড়াইয়া থাকুম ? কত্তা উপর থেকে জবাব দিলেন , হইয়া গেছে । আইত্যাছি । এরপর কৰ্ত্তা আবার গিন্নীকে তাড়া দিলেন । গিন্নী তখন ফাইনাল টাচ্ দিচ্ছেন । বললেন , তুমি এগােও । কৰ্ত্তা তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে চললেন সিড়ির দিকে । কিন্তু তাড়াহুড়ােয় নামতে গিয়ে ধুতির কোচা পায়ে জড়িয়ে পড়ে গেলেন । গড়াতে গড়াতে সিঁড়ির নিচে । গাড়ােয়ান তক্ষুণি ধরে তুলে কৰ্ত্তাকে দাঁড় করিয়ে দিয়ে গায়ের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে বলল , ‘ লাগলাে হালায় ? লাগলাে ? ’ কৰ্ত্তা লজ্জায় অধোবদন।
গাড়ােয়ান: ‘ একটুখানি লাগলেও হালায় আইছেন কিন্তু বড় তাড়াতাড়ি ।
Funny Bangladeshi mojar jokes #10
এক ভদ্রলােক ভুল করে উল্টো গেঞ্জী পরে বাজার করতে
বেরিয়েছেন । তাই দেখে এক কুট্টির মন্তব্য
— হালায় আহেন ন যায়েন ?
-ক্যান ?
— হালায় গায়ের দিকে তাকালেই মালুম পাইবেন ।
BD Joke#11
জুতার দোকানে জুতাের দরদস্তুর হচ্ছে ।
— এই জুতাে জোড়ার দাম কত ।
-কুড়ি ট্যাহা কত্তা ।
— পাঁচ টাকায় হবে না ।
-বগলের মাপ দ্যান কত্তা । -কেন বগলের মাপ কেন ? জুতাে তাে কিনবাে পায়ের । মাপে ।
-পাঁচ ট্যাহার জুতাে পায়ে দিয়া রাস্তায় হাঁটোন যায় না । ওইডা বগলে । রাইখ্যা হাটতে হয় ।
-ক্রেতার আর জুতাে কেনা হলা না ।
BD Joke#12
এক ভদ্রলােক বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে দেখলেন ইলিশ মাছ খুব সস্তা । ভাবলেন , ভালোই হল । আজ তাহলে ইলিশ মাছই খাওয়া যাবে । একটা ইলিশ ধরে টিপে দেখলেন কান দেখলেন । মাছটা দেখে তার মনে হল । এবার দরদপ্তর শুরু হল কত দিমু ?
— পাঁচ ট্যাহা দ্যান কত্তা ।
– না , তিন ট্যাহার কম হইবাে না ।
– ঠিক আছে চাইর ট্যাহাই দিমু । কিন্তু মাছে ডিম হইবাে না তাে ?
— কী যে কয়েন হালায় । ডিম আইবাে কোইথেইক্যা এতাে এক্কেবারে কুমারী মাছ । কাইট্যা দেখাইয়া দিমু । বেশ তা হইলে কাইট্যাই দেও । কিন্তু মাছ কাটতে গিয়ে দেখা গেল অন্য চিত্র । মাছওয়ালা বঁটিতে মাজটাকে টুকরাে করার পর দেখা গেল মাছের পেটে ডিম । জিভ কামড়ে মাছওয়ালা চুপ । খদ্দেদের সঙ্গে আর কথা কয়না , খদ্দেরের দিকে তাকায়ওনা । তার বদলে দুটুকরাে করা । মাছের সঙ্গে কথা বলতেই ব্যস্ত
– ও শালী কোথায় গেছিলি ? কার লগে গেছিলি ? না কইলে হালায় তরে ছাড়ম না আইজ । কও খদ্দের বিরক্ত হয়ে বলল , খুব তাে কইত্যাছিলা কুমারী মাছ । তা কুমারী মাছের পেটে ডিমা আইলাে ক্যামনে ?
— আর কইয়েন না হালায় । শালী আমারে ডুবাইল । কি কমু । কত্তা , ঘরের মেয়ে ছেইলা , হেগােরে হালায় ঠিক রাখােন যায় না । তাল পাইলেই পর পুরুষের লগে ফুসুর ফাসুর করে । আর এত জলের তলার মাছ কি । কি আর করবেন কত্তা । না বুইঝ্যা কইর্যা ফালাইছে । আরে ক্ষমা কইর্যা বাড়ি লইয়া যান ।
BD Joke#13
ঢাকা সদর ঘাটে এক কুট্টির দোকানে জুতাে কিনতে গেছেন এক ভদ্রলােক । এক জোড়া দেখে খুব পছন্দ হল । জুতাে জোড়া হাতে নিয়ে জিগ্যেস করলেন , দাম কত ?
— আইজ্ঞা তিরিশ ট্যাহা কত্তা ।
— কও কি , পনের ট্যাহায় হইবাে না ?
— হইবাে । দেরে হালায় কত্তারে প্যাক কইরা দে । ভদ্রলােক পনের টাকা দিয়ে জুতাের বাক্স হাতে নিয়ে দোকান ছেড়ে বেরিয়ে পড়লেন । আধ ঘণ্টা বাদে হন্তদন্ত হয়ে আবার দোকানে ঢুকলেন । রেগে গিয়ে বললেন , তােমরা আমায় এক পাটি জুতাে দিলে কেন ? জোচ্চোর
— রাগেন ক্যান হালায় । মাথা ঠাণ্ডা কইরা হিসাব কইরা দ্যাহেন
— তিরিশ ট্যাহা জোড়া হইলে ঐ ট্যাহায় তাে এক পাটি হয় । ঠিক কিনা ?
BD Joke#14
রহিম শেখ কাঁদো কাঁদো মুখ করে তার দোস্ত মতিনকে বলল । “ দোস্ত খুব বিপদে পইড়্যা গেছি , হালায় ।
মতিন – ক্যান , কী বিপদ হইলাে তােমার ?
রহিম — কালকা জুয়া খেলতে গিয়া সব টাকা পয়সা । খােয়াছি । শ্যাষ কালে বৌ বন্ধক দিয়া উঠিয়া আছি ।
মতিন — এতে হালায় বিপদের কি হইলাে ? ঐ বাঁজা মেয়ে মানুষটা গেছে , তুমি হালায় বাইচ্যা গেছ । আবার একটা শাদী কইরা লইবা ।
রহিম- হেইডা তাে বুঝলাম । কিন্তু আইজ কী বন্ধক দিয়া জুয়া খেলি কওতাে ?
Bangladeshi mojar jokes #15
মােস্তাফার সংসারে প্রচণ্ড অশান্তি । কারণ তার বৌ খুব মুখরা । দুজনে নিত্য ঝগড়া । কিছুদিন আগে তুমুল ঝগড়া করে । তার বৌ বলেছে , তােমার সঙ্গে অন্তত এক মাস আমি কথা কমুনা । পাড়ার মুরব্বি কামাল মিঞার কাছে গিয়ে হাত কচলে মােস্তফা জানাল , কামাল সাব আমারে একটা উপায় বাতলান
– ক্যান কি হইছে ?
— আমার বৌ কইছে এক মাস হালায় , আমার লগে কথা কইবাে না ।
– তুমি ব্যাটা বাইচ্যা গেছ । এক মাস অন্তত শান্তিতে থাকতে পারবা । তােমার বৌ – এর যা চোপা . . .
— আমি বাইচ্যা যাই নাই কামাল সাব , মইরা গেছি ।
– ক্যান ?
-হেই একমাসের আইজকাই শ্যাষ দিন ।
Read Also:70+ Funny Bengali jokes for Spread happiness & improve humor
Bangladeshi mojar jokes funny golpo

পক্ষীরাজ
তখন ঢাকায় ঘােড়দৌড় হত । গ্রামের এক জমিদার তনয়ের ঢাকা বেড়াতে এসে রেস খেলার শখ হল । ঘােড়ার খোঁজখবর নিতে গিয়ে পড়লেন এক বুকির খপ্পরে । বুকি পােড় খাওয়া লােক আর জমিদার তনয় আনকোরা । বুকি জমিদার তনয়কে আশ্বস্ত করে বলল , “ আপনি হালায় কিছু ভাইব্যেন না । আপনারে এমন ঘােড়া ঠিক কইরা দিমু যে হালায় জীবনে কোনদিন সেকেণ্ডে হয় নাই ।
— এ রকম ঘােড়া তােমার সন্ধানে আছে ?
— তা হইলে আর কইতাছি কী ? হেই ঘােড়াই আপনারে হালায় ঠিক কইর্যা দিমু কিন্তু আমার বকশিশটা হালায় রেসের আগে দিতে হইবাে ।
— ঠিক আছে এই দশ টাকা এখন রাখ । রেসে জিতলে আরও দশ টাকা দেব । কিন্তু রেসের আগে আমি ঘােড়াটা একটু দেখতে চাই ।
— এ আর এমন কী কথা । চলেন হালায় অখনই দেখাইয়া আইনতাছি।
বুকি জমিদার তনয়াকে নিয়ে চলল ঘােড়াশালের দিকে । সেখানে পৌঁছে একটি ঘােড়া দেখিয়ে বলল , “ আপানারে হালায় এই ঘােড়ার কথাই কইত্যাছিলাম । হালার নাম পঙ্খীরাজ । ঘােড়াটিকে দেখে – শুনে জমিদার নন্দন বলে উঠলেন , আরে এই ঘােড়ার পিঠে তাে দেখছি ঘা হয়েছে । এই ঘা নিয়ে দৌড়াতে পারবে তাে ? | বুকি আঁতকে উঠে বলল । “ ঘা নয় কর্তা ঘা নয় । হালায় । পঙ্খীরাজ আছিল । মালিক অর পাখনা দুডা ছাঁইটা দিচ্ছে । ওইডা হইল পাখনার দাগ ।
– ঠিক আছে । চল । রেসের আগে আমায় মাঠেনিয়ে যেও ।
পরের দিন বুকি যথাসময়ে এসে জমিদার তনয়কে নিয়ে ।
রেসের মাঠে গেল ।
জমিদার তনয় ওই ঘােড়ার ওপরেই বাজি ধরলেন । রেস শুরু হল । সব কটা ঘােড়া স্টার্টের আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে প্রাণপণ দৌড়াতে লাগল । ব্যতিক্রম শুধু সেই ঘে ‘ ভাটি যেটির ওপর জমিদার তনয় বাজি ধরেছেন । সেই ঘােড়া তখন উল্টো দিকে মুখ ঘুরিয়ে ঘাস খেতে শুরু করেছে আপন মনে । জমিদার তনয় তাে রেগে কাই
— এই তােমার পঙ্খীরাজ ! তুমি জোচ্চর । তুমি আমায় ঠকিয়েছ । ‘ | বুকি বিনয়ের সঙ্গে বলল , ‘ দ্যান বাকি দশ ট্যাহা দেন । আপনি হালায় রেসের কিছুই বােঝেন না । ঘােড়াডার তাগতটা দ্যাখলেন না । সব কড়া ঘােড়ারে কি রকম ঠাঙ্গাইয়া লইয়া গেল । হালায় । পঙ্খীরাজই এইডা পারে । দ্যান দশ ট্যাহা । । জমিদার তনয় বকশিস বাকি দশ টাকা বুকির হাতে খুঁজে গজ গজ করতে বাড়ি ফিরলেন ।
কাকা আর ভাইপো
কাকা ভাইপােকে ডেকে চলেছেন , ‘ অ্যাই হাসেম ওঠ । ওঠন না ক্যান ? ’ ভাইপাে তখনও নাক ডেকে ঘুমােচ্ছে । কারণ কাল । সারারাত সে ঘুমােতে পারেনি । তাই দিনের বেলায় একটু ঘুমিয়ে নিচ্ছে । কাকা আবার চেঁচিয়ে ডাকতে শুরু করলেন , “ অ হাসেম ওঠ । আর কত খুমাইবি হালায় ? এবারে ভাইপাে বিরক্ত হয়ে সাড়া দিল । ‘ বলি চাচা , তুমি । হালায় অ্যাত চিল্লাইতে আছ ক্যান ? তুমি হালায় জান কাউলাকা লতিমপুরে বাবুগাে বাড়িতে যাত্রা গান গাইতে গেছিলাম । শ্যাষ । রাইতে গান শ্যাষ কইর্যা হাঁটিয়া বাড়ি আছি । ঘুমে আমার চোখ ভাইহগদা আইতাছে । আর তুমি হালায় চেঁচাইতে আছ ! ’
— তা ভাইপাে গান কী রকম হইলাে ?
— ভালই হইছে ।
— ট্যাহা পৈসা হালায় দিচ্ছে ত ঠিক ঠাক ?
– ট্যাহা পৈসা হালায় তামাম শােধ কইরা দিচ্ছে ।
— কী রকম ? একটু খােলসা কইরা ক দিকিনি হালায় ।
— আমরা ত গিয়া খুব উটের মাথায় হালায় গান ধরলাম । পাবলিক একেবারে চুপ । তারপর দেহি দুই একখানা ঢ্যাল পড়ে ।
-আসরে ঢ্যাল পইড়লাে ?
— আমরা হালায় ওতে কিছু মাইন্ড করলাম না। গান চালাইয়া যাইতে লাগলাম ।
-তারপর ?
– তারপর দেহি হালারা এক আদ পাটি জোতা ছোঁড়ে ।
– আসরে জোতা ছুইড়লো ? কস কি ?
— হ – অ । আমরা তাতেও কিছু মাইণ্ড করলাম না , গান চালাইয়া যাইতে লাগলাম ।
– তারপর ?
— তারপর দেহি স্টেইজে উইঠ্যা ড্রেস ধইর্যা টানাটানি করে । তারপর ? এরপর তাে গান চালানো যায় না । বন্ধ কইরা দিলাম ।
— ট্যাহা পৈসা ? |
— তামাম শােধ দিচ্ছে ।
— কী রকম ?
— হালারা কনট্রাক্ট করছিল দুই শ ট্যাহা । যাইতে আমরা লেট করছিলাম । হের জন্য পঞ্চাশ কাইট্যা রাখছে ।
— বাকি , দেড়শ ?
— দিচ্ছে চাচা দিচেছ । বাবুরা যে জোতা ছুড়ছিল হেই ক্ষতি পূরণ বাবদ পঞ্চাশ ট্যাহা কাইট্যা রাখছে ।
— বাকি একশ ?
— দিচ্ছে হেও দিচ্ছে । টানাটানির সময় ড্রেসারের যে ড্রেস ছিড়ছে হের লাইগ্যা আরাে পঞ্চাশ ট্যাহা কাইট্যা রাখছে ।বাকি পঞ্চাশ ট্যাহা তা হইলে হাতে পাইছস ?
– না চাচা । হেই পঞ্চাশ ট্যাহা আগামীবার যাইতে যেন লেট না করি হের লাইগ্যা জমা রাখছে ।
— তা , ভাতিজা এতেক কষ্টে কইরা যাত্রা গাইতে যাওনর । কী লাভ ?
— তা বইললে তো চলে না চাচা । অমরা গুণী মানুয় , ঘরে । তাে বইস্যে থাকতে পারিনা ।
Read Also:New bengali funny jokes SMS for whatsapp and facebook
আকবর আর বীরবল
একঅশ্ব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে একটা ভাল জাতের ঘােড়া কিলন , এবং ভাল জাতের একটা মাদী ঘােড়া কিনতে চাইলেন । | অশ্বব্যবসায়ী জানাল যে তার ঐ ঘােড়া নেই তবে দাম পেলে সে এনে দিতে পারবে । | বাদশা তাকে এক থলি মােহর অগ্রিম দিলেন । কিন্তু সেই অশ্বব্যবসায়ী আর ফিরে এল না । এরপর কিছুদিন বাদে বাদশা রাজ্যের মূর্খদের একটা তালিকা তৈরী করতে বললেন বীরবলকে । বীরবলও খুব তাড়াতাড়ি তালিকাটি বাদশার কাছে পেশ করলেন । আকবর সবিস্ময়ে দেখলেন তার নামই সর্বপ্রথমে রয়েছে । বাদশা রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন , তােমার সাহস তাে কম নয় , আমাকে তুমি পয়লা নম্বর মুখ বানিয়েছ ? বীরবল বললেন , রাগ করবেন না হুজুর , আগে আমার কথাটা । শুনুন , তারপর আমাকে শাস্তি দেবেন । এমন মূর্খ কি দেশে একজনও আছে যে অপরিচিত একজনকে তার কথামত অর্থ অগ্রীম দেয় ? বাদশা বললেন , কিন্তু বীরবল , সে তাে ফিরে আসতেও তাে পারে ? | বীরবল বলল , যদি ফিরে আসে তবে আপনার নামটা কেটে তার নামটা বসিয়ে দেব । আর আপনি আমাকে যে শাস্তি দেবেন । তাই মাথা পেতে নেব ।
Read Also: Funny whatsapp dp
শেষ কথা
আসা করছি আপনি এই Bangla hasir jokes গুলি পছন্দ করবেন ভালো লাগলে কমেন্ট এ জানান আমি এরকম Bangla hasir jokes আরো ভবিষ্যতে উপলোড করবো। ধন্যবাদ।
Very funny
Really very funny
Osam Bengali jokes collection. I love it. Keep it up…
Thanks, Elman for sharing your thought….