চুমু-র পিছনে আছে অনেক মজার তথ্য ৷ জেনে নিন

আজ, ৬ জুলাই ওয়ার্ল্ড কিসিং ডে বা বিশ্ব চুম্বন দিবস। ২০০০ সাল নাগাদ ব্রিটেনে শুরু হয়েছিল ওয়ার্ল্ড কিস ডে-র সেলিব্রেশন। এই দিন প্রেমিক-প্রেমিকা চুম্বনের মাধ্যমে নিজের ভালবাসা ব্যক্ত করে থাকে। ঠোঁটে কিনারে এসে আটকে থাকা কত কথাই তো আছড়ে পড়ে চুমুর মাধ্যমে ৷ গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁটের আলগা স্পর্শে গলে গিয়েছে কত পাথর মন তার হিসেব নেই ৷ প্যাশনের প্রতিটা ফোঁটা চুঁইয়ে নামে, যখন দুটি পাগল মন একে অপরের ঠোঁটে আশ্রয় খুঁজতে চায় ৷ বিশ্ব চুম্বন দিবস কিন্তু শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য নয়, আজকের দিনটা সবার জন্য – কপালে মায়ের স্নেহভরা চুম্বন, বাবার গালে মেয়ের দুষ্টুমিষ্টি চুমু। কিন্তু এই চুমু-র পিছনে আছে অনেক মজার তথ্য ৷ জেনে নিন


জানেন কি, সাধারণত দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মাথা ডানদিকে হেলিয়ে কিস করেন ৷ বিখ্যাত পেন্টিং,ভাস্কর্য কিংবা সিনেমাতেও আমরা প্রেমিক-প্রেমিকাদেরও এইভাবেই কিস করতে দেখি ৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, গর্ভে থাকার সময় থেকেই আমরা চুমু খাওয়ার এই পদ্ধতি শিখে আসি ৷ কারণ- মায়ের গর্ভে শিশুদের মাথা ডানদিকে হেলানো থাকে ৷


চুমু খাওয়ার সময় মোট ১৪৬ টা মাসল কাজ করে ৷ এর মধ্যে ৩৪টা মুখের মাংসপেশী বাকিটা ভঙ্গিগত


আমাদের চুমু খাওয়ার ভঙ্গি অবিকল ৭৫ থেকে ১২৫ মিলিয়ন বছর আগেকার ইওমাইয়া স্ক্যানসোরিয়া ইঁদুরের মতো ৷ এই ইঁদুররা একে অপরের সঙ্গে নাক ঘষে নিজেদের যৌন অভিব্যক্তিকে প্রকাশ করত ৷


XOXO টাইপ করলেই স্ক্রিনে ফুটে ওঠে কিসিং স্মাইলি ৷ ইতিহাসবিদরা বলেন এর পিছনে আছে মানবসভ্যতার এক পুরোনো গল্প ৷ মধ্যযুগে নিরক্ষর মানুষেরা প্রেমের বার্তা পাটাতে হলে সিগনেচার হিসেবে X সাইনটি ব্যবহার করে তারপর ডকুমেন্টটিকে কিস করে সীল করতেন ৷


চুমু-র দেশ বলে স্বীকৃত ফ্রান্সে বিংশ শতাব্দীতে ট্রেনে কিস্ করা নিষিদ্ধ ছিল ৷ কারণ- কিস্ করতে গিয়ে ট্রেন থেকে উঠতে-নামতে যাত্রীরা দেরি করতেন ৷ এই কারণে সময়ের চেয়ে দেরিতে চলত ট্রেন ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জারি হয় নিষেধাজ্ঞা ৷


১৪৩৯ সালে ১৬ জুলাই ইংল্যান্ডের তৎকালীন রাজা পঞ্চম হেনরি রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে চুমু-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ৷ কথিত আছে,এই ঘোষণার পর তার রাজ্যে অরাজকতা তো দেখা গিয়েছিলই সঙ্গে রাজা নিজেও দীর্ঘকাল এরকম নিষেধাজ্ঞা পালন করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ৷


ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের কারণে বন্ডের চুমুতে চলেছে কাঁচি ৷ টাইটানিক, স্পাইডারম্যান, কাসাব্লাঙ্কা, গন উইথ দ্য উইন্ডের মতো সিনেমায় কাল্ট হয়ে যাওয়া কিসিং সিন উপহার দেওয়া হলিউডেও চলেছিল চুমুর উপর সেন্সরের কালো কাঁচি ৷ ১৯৩০-এ সেন্সর বোর্ডের হেইজ কোড অনুসারে কাপলদের পর্দায় হরাইজন্টাল পজিশনে মানে একে অপরের উপর শুয়ে কিস করায় ছিল নিষেধাজ্ঞা ৷ এমনকী, বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীকেও খাটে পাশাপাশি শুয়ে দেখানোর ক্ষেত্রেও অনেক শর্ত ছিল ৷ খাটে চুমুর দৃশ্য দেখাতে হলেও শর্ত ছিল, কাপলদের মধ্যের যে কোনও একজনের পা মাটিতে থাকতে হবে ৷ ওই কোড অনুযায়ী সর্বাধিক দীর্ঘ চুমুর সিন হতে পারে ৩ সেকেণ্ডের, তার বেশি কোনও মতেই না ৷ এত নিয়ম মেনেই চলত পর্দায় প্যাশনের বিস্ফোরণ


একজন সাধারণ মানুষ তার পুরো জীবনের গড়পড়তা ২০,১৬০ মিনিট অর্থাৎ দু’সপ্তাহ সময় চুমুর পিছনে ব্যয় করেন


চুমু বিজ্ঞান বলে মহিলারা নিজের ড্রিম পার্টনার খুঁজে পেতে অন্তত গড়ে ১৫ জন পুরুষকে কিস করেন ৷ কারণ- চুমুতেই লুকিয়ে আছে নারীর হৃদয়ের অন্তিম চাবিকাঠি


চুমু বিজ্ঞানকে বলে Philematology আর যারা Philematology নিয়ে পড়াশুনো করেন তাদের বলে Osculologists ৷ গোদা বাংলায় চুমু বিজ্ঞানী ৷