কোনও বাড়তি জ্ঞানের বাণী না আউড়ে এই ছবি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কন্যা ভ্রুণ হত্যার নৃশংস দিক। হরর মুভি বলতে যা বোঝায় এই ছবি খাপে খাপ না। বরং ফাঁকা ভয় দেখানোর থেকে এই ছবির বিষয়বস্তু এমন যে দর্শকের গলার কাছে দলা পাকিয়ে আসবে, গলা শুকিয়ে যাবে। এক জ্বলন্ত সামাজিক বিষয়কেই ছবির ফ্রেমে ধরার চেষ্টা করেছেন পরিচালক বিশাল ফুরিয়া (Vishal Furia)। Chhorii ছবির পরতে পরতে দর্শকদের জন্য রয়েছে সারপ্রাইজ। হাতে গোনা কয়েকটি চরিত্র এবং নির্জন বসতি এই ছবির হরর ফ্যাক্টরকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেয়। এই ছবির মেঠো প্রেক্ষাপট ছবিটিকে যেন আরও বেশি করে বাস্তব করে তুলেছে। দুর্ধর্ষ ক্যামেরার কাজ ছোরি ছবির বাড়তি পাওনা। ক্যামেরার দুরন্ত কারসাজি ভয়ে বাতাবরণ বাড়িয়ে দেয়। ছবিতে এমন বেশ কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা একই সঙ্গে আপনাকে ভীষণ রাগিয়ে দেবে আবার মনে কোণে কোথাও না কোথাও দারুণ যন্ত্রণা অনুভব করবেন। একটি দৃশ্যের কথা না বলে পারছি না। গ্রামের মধ্যে শুকিয়ে যাওয়া একটি কুয়োর মধ্যে মৃত শিশুদের দেহের স্তূপের দৃশ্য দেখে আপনার শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যাবে।
বহুদিন পর একটি দারুণ চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলেন দুঁদে অভিনেত্রী মিতা বশিষ্ঠ। বহু বছর পর Chhori ছবিটি তাঁর মতো প্রতিভাবান অভিনেত্রীকে লাইমলাইটে নিয়ে এল। ভান্নো দেবীর চরিত্রে মারকাটারি পারফর্মেন্স মিতা বশিষ্ঠের।
অন্তঃসত্ত্বা সাক্ষীর চরিত্রে সত্যিই ভালো করেছেন নুসরত ভারুচা। ছক ভাঙে চরিত্রে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জে তিনি ভালো নম্বর নিয়েই পাশ করলেন। হেমন্তের চরিত্রে সৌরভ গোয়েলও যথাযথ। মরাঠি ছবি লাপাচ্ছাপির দারুন হিন্দি রিমেক করেছেন পরিচালক বিশাল ফুরিয়া।
তবে সর্বাঙ্গ সুন্দর নয় এই ছবিও। রয়েছে কিছু গলদ। হেমন্তের চরিত্রটি আরও একটু যত্ন নিয়ে স্কেচ করা যেত। ড্রাইভারের চরিত্রে অভিনয় করে রাজেশ জয়সের জন্যও আরও একটু স্ক্রিনটাইম বরাদ্দ করা যেতেই পারত। তবে সব মিলিয়ে এই ছবি নিঃসন্দেহের দেখার মতো। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োয় মুক্তি পেয়েছে ছোরি।