মেনে চলুন এই সহজ ৫টি টিপস আর সুরক্ষিত রাখুন আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট

হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) আর ফেসবুক (Facebook)-র মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ছাড়া বর্তমান প্রজন্মের জীবন যেন অচল। প্রায় ২০০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে ফেসবুকের। জালিয়াতির জন্য প্রায় সময় হ্যাকররা হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ পেতে রাখে। তাই সরকারের সাইবার বন্ধুর মাধ্যমে প্রতারণা বা জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়েছে।


প্রাইভেসি সেটিং – হোয়াটসঅ্যাপে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন কোড আর ফেসবুকে প্রাইভেসি সেটিংস ব্যবহার করুণ। ছবি, ভিডিও বা অন্য কোনও ব্যক্তিগত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করলে, সঙ্গে সঙ্গে সেটিংসে গিয়ে সেগুলির অ্যাকসেস চেঙ্গ করে দিন।


ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ঠিকানা, ফোন নম্বর, আধার নম্বর, ছবি সেসাল মিডিয়ায় শেয়ার করা থেকে এড়িয়ে চলুন। এই তথ্যের সাহায্যে হ্যাকররা ব্ল্যাকমেল করতে পাড়বে আর আপানার অ্যাকাউন্টও হ্যাক করতে পাড়বে। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে এই সব তথ্য পোস্ট না করাই ভাল।


ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার সময় সতর্ক হোন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অজানা কোনও লোকের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করবেন না। অনলাইন বন্ধুদের উপরে ততক্ষণ বিশ্বাস করবেন না যতক্ষণ না আপনি বাস্তব জীবনে তাঁদের চেনেন। অনলাইন বন্ধুদের উপর বিশ্বাস করা উচিত নয়।


হ্যাকররা ফেক আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারে। সাইবার অপরাধীরা বেশির ভাগ সময় লোকদেরকে ফাঁসানোর জন্য ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল বানিয়ে থাকে। ভুয়ো প্রিফাইলের সাহায্যে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নেয়।


যদি আপনি সাইবার ক্রাইমের শিকার হন তো সঙ্গে সঙ্গেই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করুন। এই অভিযোগটি দায়ের করা যেতে পারে জাতীয় সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল / পুলিশে। প্রতারকের সঙ্গে আপনার যেই কথোপকথন হয়েছে, প্রমাণের জন্য সেটি সংরক্ষণ করুন।