কেমন হল?
ভালোবাসার জন্য বাড়ি ছেড়েছে রিঙ্কু। এমন পরিস্থিতিতেই গল্পের শুরু। কয়েকজন তাকে ধাওয়া করে চলেছে। কিন্তু, অবলা বা বেচারি নয় রিঙ্কু। বরং তার স্নায়ু যথেষ্ট শক্ত। যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে যুঁঝতে জানে সে। রিঙ্কুর দিদা (সীমা বিশ্বাস) ভীষন কঠোর। কিন্তু, তার শাসনের হাত থেকে বাঁচতে নয়, বরং ভালোবাসার টানেই ঘর ছেড়েছিল রিঙ্কু। বিষয়টি জানতে পেরে রিঙ্কুর দিদা খোঁজ নিতে শুরু করেন যে নাতনি কার প্রেমে পাগল। যদিও রিঙ্কু সে বিষয়টি কারওকে জানাতে নারাজ। এতে তার দিদার রাগ সপ্তমে পৌঁছয়। তিনি নির্দেশ দেন, গ্রামের বাইরের যে কোনও লোককে তুলে এনে রিঙ্কুর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হোক।
এদিকে বিষ্ণু তাঁর প্রেমিকা ম্যান্ডি ওরফে মন্দাকিনীকে বিয়ে করবে বলেই মনস্থ করেছিল। কলেজের অধ্যক্ষের মেয়ে ম্যান্ডি। কিন্তু, ভাগ্যের পরিহাসে বিষ্ণুর বিয়ে হল রিঙ্কুর সঙ্গে। সারা আলি খান এবং ধনুশের কেমিস্ট্রি কিন্তু বেশ হটকে। তাঁদের জুটি ছবিতে নজর কেড়েছে।
পরিচালক আনন্দ এল রাই এবং চিত্রনাট্যকার হিমাংশু শর্মা একেবারে ভিন্ন চরিত্রদের এক বিন্দুতে এনে দাঁড় করিয়েছেন। প্রটাগনিস্টদের প্রত্যেকের চরিত্রই কিন্তু পরস্পরের থেকে আলাদা। বলা যায়, তারা প্রত্যেকেই আলাদা মেরুর বাসিন্দা। অথচ বাস্তব জীবনে তারা একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। প্রেমের গল্পকেই একেবারে ভিন্ন মোড়কে পরিবেশন করেছেন পরিচালক।
সর্বোপরি চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে একাধিক লোকেশনে শ্যুট করা হয়েছে। পরিচালক এক্ষেত্রে লোকেশনকে ব্যবহার করেছেন প্রতিটি দৃশ্য, প্রতিটি মুহূর্তকে জীবন্ত করে তোলার জন্য। তিনি আলাদা ফ্লেভার নিয়ে এসেছেন বলিউডি প্রেমের গল্পে। ছবির প্রথমার্ধ দুর্দান্ত। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা স্লথ হয়েছে ছবির গতি। কিছু মুহূর্তের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। তবে এটা বোঝা যায়নি ছবির শেষ কী ভাবে হতে চলেছে।
ছবির কনসেপ্ট অভিনব এবং খানিকটা জটিল। ফলত সিনেমার পর্দায় তা ফুটিয়ে তোলা সহজ কাজ নয়। তবে আনন্দ এল রাই খুব সহজভাবে যে কোনও গল্পকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন অতীতে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ছবিটি যথেষ্ট বুদ্ধিদীপ্তও বটে। তবে হিমাংশুর গল্পের বুনোঠ যদি আরেকটু মজবুত এবং ক্রিস্পি হতো, তাহলে ছবিটি আরও এক কদম এগিয়ে যেতে পারত।
এই ছবিতে গল্পের প্রয়োজনে গান ব্যবহার করা হয়েছে। এ আর রহমানের সুর দুরন্ত। ইতিমধ্যেই দর্শকের মোস্ট ফেভারিট হয়ে উঠেছে ‘চকা চক’ গানটি। যা অবশ্যই এই ছবির প্লাসপয়েন্ট। পরিচালক ছবির শেষে যে টুইস্টটি ব্যবহার করেছেন, সেটিই আতরঙ্গি রে-কে আরও বিশেষ করে তুলেছে।