প্রথম দৃশ্য থেকেই ছবির ছন্দ বেঁধে দেন পরিচালক Mahesh Manjrekar। ছোট শহরের সাধারণ ছেলে থেকে রাহুলিয়া কীভাবে মাফিয়া হয়ে ওঠে, তার পিছনের গল্প কী সবটাই আন্দাজ করা যায় প্রথম দৃশ্য থেকেই। আয়ুষের বাবার চরিত্রে রয়েছেন দুঁদে অভিনেতা এবং মহেশ মঞ্জরেকরের ঘনিষ্ঠ সচিন খেড়েকর (Sachin Khedekar)। স্থানীয় এক জমি মাফিয়া শুধু যে রাহুলিয়ার বাবাকে বেদম মারে তা নয়, তাদের থেকে ছিনিয়ে নেয় চোদ্দ পুরুষের জমি। উত্পীড়ন সহ্য করতে করতে হঠাত্ করেই বদল ঘটে রাহুলিয়ার। সেও হয়ে ওঠে এক ভয়ংকর মাফিয়া। চলে আসে পুনের সবচেয়ে প্রভাবশীলা গ্যাংস্টার নানিয়া ভাই (Upendra Limaye) ছত্রছায়ায়। আর এখানেই এনট্রি নেন ইন্সপেক্টর রাজবীর সিং (Salman Khan)। তিনি জানেন কীভাবে ধর্ষক থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতা কিংবা মাফিয়াদের থেকে শহরকে বাঁচাতে হয়।
চুলবুল পান্ডের পর ফের একবার পুলিশের চরিত্রে বড় পর্দায় শোরগোল করতে চলে এসেছেন সলমান খান। এই ছবি বানানো হয়েছে শুধুমাত্র বিনোদনের কথা মাথায় রেখেই। তবে অত্যধিক সংলাপের কচকচানি কিছুটা হলেও ছবির গতি কম করে। এখানে একটা কিন্তুও আছে। প্রথম ভাগেই এমন এক ট্যুইস্ট রয়েছে যা ফাইনালে ডায়লগবাজির মনোটনি ব্রেক করে দর্শকের ইন্টারেস্ট ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
ছবির প্লাস পয়েন্ট অবশ্যই করণ রাওয়াতের সিনেম্যাটোগ্রাফি এবং মহেশ মঞ্জরেকরের চেষ্টা গ্রামীন মহারাষ্ট্রের ঝলক দর্শকদের দেওয়ার। তবে নেগেটিভ পয়েন্ট অযথা একগাদা চরিত্রকে প্লটে নিয়ে আসা। সেই সঙ্গে জোর জবরদস্তি চারটে গান ঢুকিয়ে দেওয়া। সুরও তথৈবচ!
অভিনয়ের দিক থেকে সলমান খানকে নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। গোটা ছবি জুড়ে সলমানসুলভ সব ম্যানারিজমই দেখিয়েছেন। তবে আয়ুষ শর্মা চেষ্টা করেছেন স্ক্রিনে সলমানের স্টারডমের সঙ্গে পাল্লা দিতে। অভিনয়টাও মন্দ করেননি। তবে ছবিটিতে জ্ঞানের বাণী আরও খানিকটা কম হলে বেটার হত। নবাগত মহিমা মাকওয়ানার সঙ্গে আয়ুষের কেমিস্ট্রিও ভালোই লাগবে। তবে অভিনয়টা মহিমা ঠিক পারেন না।
সলমান খানের ছবি মাস এন্টারটেনার চিরকালই। এবারও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না। ওল্ড ওয়াইন ইন নিউ বটল এই ছবি। উইকএন্ডে মসালা বলিউড মুভি দেখতে চাইলে অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ দেখতেই পারেন।